উপদেশ মূলক শ্রেষ্ঠ সুবচন (জ্ঞানের কথা) অর্থাৎ প্রবচন সংগ্রহশালা উপদেশ কেউই পছন্দ করে না। কিন্তু ট্র্যাজেডি হলো, আমাদের সমাজে সবাই শুধু উপদেশ দিতে চায় অনেক সময় মনে হয় উপদেশ দেয়ার মতো আনন্দময় কাজ খুব কমই আছে। আমাদের সমাজ জুড়ে কেবলই উপদেশ-দাতা, জীবনের প্রতি পদে পদে কেবল উপদেশ আর উপদেশ। এটা করো না, ওটা করো, ওভাবে করো না, এভাবে করো না। উপদেশ কেউ মানে না তবু আমরা একে-অপরকে উপদেশ দিয়েই যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। কারণে-অকারণে উপদেশ শুনতে শুনতে উপদেশ গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও কেউ আর শুনতে চায় না, মানা তো দূরের কথা। শুধু তা-ই নয়, উপদেশ শুনলে অনেকেই চটে যায়, বিরক্ত হয়। তারপরও অবশ্য উপদেশদাতার কোনো ঘাটতি নেই। আবার অনেক সময় উপদেশ গুলো কমন হয়ে যায়। অনেক পণ্ডিত আছে, যারা উপদেশ শুনতে শুনতে সব মুখস্ত। আপনি যা ই বলতে যাবেন, সে বলবে, জানি... জানি..... নতুন কিছু থাকলে বলেন… তাহলে মানুষ কেন উপদেশ দেয় আবার কেনই বা কেউ কারো উপদেশ মানতে চায় না, এসব রহস্য ভেদ করা জটিল। আমার ধারনা উপদেশ দানের ও না মানার মূল কারণটি হলো –“প্রত্যেক মানুষই নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে”। সে যা জানে-বোঝে, অন্য কেউ তার ধারে কাছেও নেই - এমন একটা ভাব বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কাজ করে।” কাউকে উপদেশ দেয়ার মতো অনর্থক কাজ আর নেই। কারণ অধিকাংশ মানুষ যা কিছু শেখে, সবটাই ঠেকে শেখে কিংবা